সাত দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের
Share on:
মাঘের শুরুতেই কন কনে ঠান্ডায় কাঁপছে দিনাজপুর। কয়েকদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। ৭ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। হিমেল বাতাস আর শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এজন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্কদের বের না হওয়াই ভালো।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, শীত নিবারণে জেলার ১৩ উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন ও নয়টি পৌরসভার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৬২ হাজার ৩৮০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার চাহিদা অনুযায়ী আরো ৫০ হাজার পিস কম্বল এবং শিশুদের গরম কাপড় চেয়ে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলাবর দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ। বাতাসের গতি ০১ নটস। জেলায় চলিত সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টি পাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এনএইচ