tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
ধর্ম প্রকাশনার সময়: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:০০ পিএম

বৃষ্টির দিনে যা করতেন নবীজি (সা.)


20220915_145032

বৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। বৃষ্টির মাধ্যমে তিনি পৃথিবীর অনেক কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন। বৃষ্টি উপভোগে মন প্রফুল্ল হয়। সৃষ্টি জীবের মাঝে প্রকাশ পায় সজীবতা ও নতুনত্ব। বৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।


এসময় তিনি যেসব আমল করতেন তুলে ধরা হলো-

আল্লাহর রহমত কামনা

বৃষ্টিতে কল্যাণ-অকল্যাণ দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। কখনও তা মুসিবতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় আবার কখনও রহমত হিসেবে আবির্ভূত হয়। মেঘলা আকাশ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড বাতাস বইতে শুরু করে তখন আল্লাহর আজাব-গজবের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু কিছু বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। এতে এমন কোনও আশঙ্কা থাকে না। 

হাদিসে এসেছে, ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং প্রচণ্ড বাতাস দেখলে নবীজির (সা.) চেহারায় চিন্তার ছাপ ফুটে উঠত। তিনি এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিতেন। অতঃপর ঝরঝরে বৃষ্টি হলে তিনি আনন্দিত হতেন এবং চেহারা থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ চলে যেত।’ (মুসলিম ২৯৪)

বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা

বৃষ্টি উপভোগ করা এবং বৃষ্টির পানি গায়ে স্পর্শ করানো নবীজির (সা.) একটি আমল। মাঝেমধ্যে রাসুল (সা.) আল্লাহর রহমতের বারিধারায় নিজের শরীর ভিজিয়ে নিতেন। 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমরা সাথী-সঙ্গীরা একবার রাসুলের (সা.) সঙ্গে ছিলাম, এসময় বৃষ্টি শুরু হলো। তখন রাসুল (সা.) তার শরীর থেকে কাপড়ের একাংশ সরিয়ে দিলেন যেন বৃষ্টির পানি গায়ে স্পর্শ লাগে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এমনটি কেন করলেন? নবীজি (সা.) বললেন, কেননা এই বৃষ্টি তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে। (মুসলিম ২৯৪)

বৃষ্টির সময় দোয়া

বৃষ্টি শুরু হলে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’ (বুখারি : ১০২২)

আবার প্রবল আকারে বৃষ্টি বর্ষণ ও ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তিনি বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ামা আলাইনা’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! বৃষ্টির আজাব আমাদের ওপর থেকে তাড়িয়ে নিন, আমাদের জন্য কল্যাণ দিন।’ (বুখারি : ১০০৩)

বৃষ্টি শেষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

বৃষ্টি যেহেতু আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত ও রহমত, তাই বৃষ্টি থেমে গেলে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত। বৃষ্টি শেষ হলে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘মুতিরনা বি ফাদলিহি ওয়া রহমাতিহি’, অর্থাৎ, ‘আল্লাহর রহমত ও অনুকম্পায় বৃষ্টি বর্ষণ হয়েছে।’-(বুখারি : ৩৮)

এমআই