tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ৩০ জুন ২০২৪, ২১:৩৪ পিএম

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় অবসরপ্রাপ্ত ১৬৬ জন কর্মকর্তার বিবৃতি


khaleda-jia01

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে বিদেশে আধুনিক চিকিৎসা সুযোগ—সুবিধা সংবলিত হাসপাতালে প্রেরণের’জন্যে প্রজাতন্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত ১৬৬ জন কর্মকর্তার বিবৃতি দিয়েছেন।


রোববার (৩০ জুন) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এক তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন থেকে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ভয়াবহ অবনতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছি এবং তাঁর সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্যে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল টিম বারবার জানিয়ে আসছেন যে, তাঁর বয়স ও অসুস্থতার যে জটিল অবস্থা তাতে যে ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, তা দেশে সম্ভব নয়। তাঁর এমন সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংবলিত যে সুযোগ—সুবিধা প্রয়োজন তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছেন যে, তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক, ঝুঁকিপূর্ণ, জটিল ও সংকটাপন্ন। তিনি এখন জীবন—মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফলে বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে হলে, তাঁর জীবন বাঁচাতে হলে বিদেশের উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতো সাংবিধানিক অধিকার অনুসারে তাঁরও বিদেশে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান সংকটপূর্ণ শারীরিক অসুস্থতায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগকে রাজনৈতিক ঘেরাটোপে বন্দি না রেখে এবং তাঁর চিকিৎসার আবেদনকে আইনের দোহাই দিয়ে প্রত্যাখ্যান না করে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তাঁর জীবন—মৃত্যুর এই জটিল সন্ধিক্ষণে সম্পূর্ণ মানবিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন এ এস এম আব্দুল হালিম, মো. আবদুল কাউয়ুম, মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, মো. আব্দুর রশীদ সরকার, ইকতেদার আহমেদ, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিজন কান্তি সরকার, এ কে এম জাহাঙ্গীর, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মকসুমুল হাকিম চৌধুরী, তপন চন্দ্র মজুমদার, আখতার আহমেদ, মো. আবদুজ জাহের, আফতাব হাসান, মো. আবদুল বারী, এস এম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, এ এইচ এম মোস্তাইন বিল্লাহ, ড. মো. আব্দুস সবুর, ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, মো. আতাউল হক মোল্লা, ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, এম এম সুলতান মাহমুদ, মো. আব্দুল খালেক, বশীর উদ্দীন আহমেদ, মো. নবীউল হক মোল্যা, মো. ফিরোজ খান নুন, শেখ মো. সাজ্জাদ আলী, মো. মেজবাহুন্নবী, মো. মনসুর আলম, বাহারুল আলম, মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মো. ওয়াছিম জাব্বার, এ কে এম মাহফুজুল হক, কাজী মেরাজ হোসেন, কাজী ইমদাদুল হক, মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, মো. শেফাউল করিম, মো. খান সাইদ হাসান, মো. বকতিয়ার আলম প্রমুখ।

এমএইচ