ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা, ২ হাজার টন খাদ্য পাঠাল যুক্তরাজ্য
Share on:
গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত। এরপর থেকেই দেশটির অবরুদ্ধ অঞ্চল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বর্বরদের চতুর্মুখী হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে গাজাবাসী।
এর মধ্যেই গেল সোমবার, অর্থাৎ ১১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে আরব বিশ্বে। ঠিক এই সময়ই এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। গেল ৫ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে রমজানেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ২ হাজার টনেরও বেশি খাদ্য সহায়তা জর্ডান হয়ে গাজায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে— বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মধ্যে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
খাদ্যের পাশাপাশি তাঁবু এবং কম্বলও ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে। ইউনিসেফের মাধ্যমে এসব তাঁবু ও কম্বল বিতরণ করা হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আরও সাহায্য পেতে আমাদের সড়কপথে টেকসই মানবিক প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। আমরা ইসরায়েলকে আরও ক্রসিং খোলার অনুমতি দিতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজায় স্বাস্থ্যসেবা, পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছি।
ফিলিস্তিনের গাজায় গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে উত্তর গাজায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে কান্না করার মতো পর্যাপ্ত শক্তিও অবশিষ্ট নেই।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর একজন এখন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১৩ হাজারের বেশি। সূত্র: আল-জাজিরার
এনএইচ