১৬ সেপ্টেম্বর থেকে হজ নিবন্ধন শুরু
Share on:
আগামী ২০২৪ হিজরি বর্ষে বাংলাদেশিদের জন্য হজের কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ অপরিবর্তিত রেখেছে সৌদি সরকার। আগামী হজ মৌসুমে হজে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর।
১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ভিসা ইস্যু বন্ধ হবে এবং ৯ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে। মিনা-আরাফা-মুজদালিফা সেবা মূল্য ঠিক করার পর আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
বুধবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ১৪৪৫ হিজরি/২০২৪ সালের হজ বিষয়ে প্রাক-প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দাদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ বিমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কাউন্সেলর হজসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ২০২৩ সনের হজ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ধর্ম সচিব। সচিব জানান, সৌদি সরকার ২০২৪ সনে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে।
তিনি আরও জানান, হজযাত্রী নিবন্ধন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হবে, ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু, সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ২৯ এপ্রিল ভিসা ইস্যু বন্ধ হবে এবং ৯ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
সৌদি সরকারের নিকট মিনা-আরাফা-মুজদালিফার সেবা মূল্য অবহিত হওয়া মাত্র হজ প্যাকেজ ২০২৪ ঘোষণা করা হবে এবং হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য সৌদি সরকার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ পালনের জন্য কোটা অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে ১৫ হাজার জনের সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছর হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ বার সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ হজ গাইড, মোয়াল্লেমসহ মোট ১ লাখ ২২ হাজার কোটা পূরণ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রায় ৫ হাজারের মতো কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ।
এদিকে বুধবার পর্যন্ত পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৮ জন। হজ পালন করতে গিয়ে ১১৯ জন হাজী মারা গেছেন। সৌদি নিয়ম অনুযায়ী, তাদের সৌদি আরবে দাফন করা হয়েছে।
এমবি