দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আলেমদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির জন্য নিয়ামত। এ নিয়ামতের গুরুত্ব উপলব্ধি করা তাদের দায়িত্ব। এ দায়িত্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করা। আজকে তারা মিম্বার-মিহরাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মিম্বার-মিহরাবের পাশাপাশি দ্বীন কায়েমেও ওলামায়ে কেরামকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের নিয়ামতে ভূষিত হওয়ার পরও যারা কুফুরি, ইলহাদ ও নাস্তিকতার পক্ষে অবস্থান নেন, তারা হতভাগা। নবীজীর সুন্নাহ, আদর্শ, সাহাবায়ে কেরামের রা:-এর বৈশিষ্ট্য এবং ইসলামী আন্দোলনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞানে সমৃদ্ধ আলেমগণ ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত প্রতিরোধে সক্ষম।’
আমিরে জামায়াত আরো বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ময়দানে বক্তব্য, ওয়াজ, নসিহা ও দাওয়াতে ইলাল্লাহর কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এতে যুবকরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, ইসলামের পক্ষে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন তারা।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম আজ জুলুম-নির্যাতনের শিকার। মামলা-হামলা, হাজত, কারাগার এসব তাদের নিত্য সঙ্গী। ইসলামবিরোধী শক্তি ও সরকার ওলামাদের বিভক্ত করে হক্কানি আলেমদের বিপরীতে বেদায়াতিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তাদেরকে মূল ধারায় আনার অপচেষ্টা করছে। এটি সফল হবে না।’
ওলামায়ে কেরামের ঐক্য আজ সময়ের অনিবার্য দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ হিংসা-বিদ্বেষ, পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি ও ছোটো-খাটো মতবিরোধ নিয়ে মতানৈক্য না করে ইসলামের সৌন্দর্য প্রদর্শনে ঐক্যের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জামায়াত ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। দ্বীনের কাজে বাধা আসলে আলেমগণকে মূল ভূমিকা রাখতে হয়। আলেমরা এগিয়ে আসলে জনগণ তাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মাঠে-ময়দানে মজবুত ভূমিকা রাখে। এভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।’
মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, ‘ইসলামী জীবন ধারায় ইখতিলাফ থাকা অস্বাভিক নয়। কিন্তু ইফতিরাক অনুমোদিত নয়, হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাহাবায়ে কেরামগণের দ্বিমতের বহু উদাহরণ ছিল দ্বীনের কল্যাণে। তাদের এ নীতি অনুসরণ করা আজ বড় প্রয়োজন। ওয়াজ-নসিহা ও ইকামাতে দ্বীনের কাজে সচেতনতা ও সতর্কতা সহকারে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া জরুরি।’
ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আলেম সমাজের সোচ্চার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ওলামায়ে কেরামকেই এগিয়ে আসতে হবে। আগামী দিনে সভ্যতা হিসাবে ইসলামের আগমন রুখে দাঁড়ানোর অপচেষ্টা বাংলার জমিনে সফল হবে না।’
জেলা আমির মাওলানা মুছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সঞ্চালনায় স্থানীয় ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মাসিহুর রহমান, আবদুল আউয়াল আকন্দ, আমিনুল ইসলাম জিহাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই