tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩২ পিএম

আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল : ডা. শফিকুর রহমান


Khulna_Shudhi_27_09_2024

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল।


যার অংশ হিসেবে তারা জুডিশিয়ালী ক্যু করার অপচেষ্টা করে। তাতে ব্যর্থ হয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ আনে। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে উল্লেখ করে

তিনি বলেন, তাদের যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সত্য কথা লিখুন। বিগত ১৫ বছরে জামায়াতকে ভিন্নভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আজ সত্য কথা লেখার সুযোগ পাচ্ছেন বলেই জামায়াত সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

জুময়াবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ সুধী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই বিডিআর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ৫৭জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা, শাহবাগে অসভ্য জমায়েত এবং সর্বশেষ জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা করে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তারা গণহত্যাকারী দল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, পট-পরিবর্তনের পর দেশে আ’লীগের একজন কর্মীও খুন হয়নি। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে দেশের পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদেরকে কন্ট্রোল করতে পারেনা বলে জনগণকেও একই মনে করে। কিন্তু দেশের জনগন দেখিয়ে দিয়েছে তারা কান্ডজ্ঞানহীন নয়।”

সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমীরে জামায়াত আরও বলেন, “আমরা একটি নতুন ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন।

সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “শেখ হাসিনা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে আজ তারা নিজেই নিষিদ্ধ হয়েছে। বিগত সতের বছরের জুলুম-নির্যাতন, খুন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, মানুষের বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আজ মানুষ নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। যে স্বাধীনতা আমাদের নতুন প্রজন্ম এনে দিয়েছে তাকে আর যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগে জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি জেনারেল ৫ আগষ্ট পরবর্তী খুলনা প্রেসক্লাবের ধংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন। পরে তারা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। আমীরে জামায়াত এসময় প্রেসক্লাবের উন্নয়নে জামায়াতের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলের পরিচালনায় অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে আমীরে জামায়াত ও সেক্রেটারি জেনারেল মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার কার্যালয়ে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, খুলনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও প্রিন্সিপাল গউসুল আযম হাদী প্রমুখ।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ