সহপাঠীর মৃত্যু: সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Share on:
মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সহপাঠী মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে ফার্মগেটের মূলসড়ক এরপর বিজয় সরণি মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
প্রথমে সরকারি বিজ্ঞান স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে এলে পরে আশপাশের আরও কয়েকটি স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ অংশ নেন।
এতে করে ফার্মগেট ও বিজয় সরণিসহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে কলেজগুলোর শিক্ষক ও পুলিশকে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজয় সরণি মোড়ে উপস্থিত হন তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রোবায়েত হাসান। তিনি ও শিক্ষকরা বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের ফার্মেগেটে নিয়ে যান।
শহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কলেজের স্কুলের সামনে দিয়ে যত্রতত্রভাবে গাড়ি চলাচল করে। অনেক গতিতে গাড়ি চলাচল করলেও পুলিশ কখনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার এক সহপাঠী খুন হলো। বিচার কখনো হয় না। তাই বিচারের দাবিতে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি।
সরকারি বিজ্ঞান স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রনি বলেন, আমরা চাই নিরাপদ সড়ক। শুধু আমাদের সহপাঠী কেন, কোনো শিক্ষার্থীর যেন সড়কে নির্মমভাবে মৃত্যু না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশের।
এ ব্যাপারে এডিসি রোবায়েত হাসান বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আলী হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। সে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওই ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা হয়েছে। ঘাতক মাইক্রোবাস ও এর চালককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান এডিসি।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আহত হন আলী হোসেন। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্র। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এমআই