এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোর আগুন
Share on:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনও জ্বলছে। প্রায় ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে ঝরে গেছে ৯ ফায়ার ফাইটারসহ ৪৯ তাজা প্রাণ। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক মানুষ।
রোববার (৫ জুন) রাত দেড়টার পর ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএম ডিপোতে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। আমরা এখনও কাজ রেখেছি। আগুনটি যাতে নতুন করে চারদিকে না ছড়িয়ে পড়ে, সে ব্যবস্থা করছি।
সরেজমিন দেখা যায়, ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন।
ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে পুলিশের একটি দল। ফটকের একটু ভেতর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। রয়েছেন সেনা সদস্যরাও।
শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।
রোববার সকালে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
জানা গেছে, ২৪ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপো। মূলত প্রতিষ্ঠানটি পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে। এখান থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য কনটেইনারগুলো প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়।
৩৮ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ঘটনার সময় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় অন্তত ২০০ শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন।
ফায়ার সাভিসের উপপরিচালক (অভিযান) দুলাল মিয়া বলেন, ‘আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সময় লাগবে। আমাদের কাজ চলছে।
ডিপোর ৫০০ মিটার শেডের ভেতর ঢুকে এখনো উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।’
এইচএন