tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ২০:১৪ পিএম

দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুদক


mirza_abbas-2108221057

শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আগামী ৩০ নভেম্বর এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।তবে, বিবাদীপক্ষ চাইলে আগামী ২৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন বলেও জানান।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের আগস্টে করা একটি দুর্নীতির মামলায় তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বাদীপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলার যুক্তিতর্ক শেষ করে আদালতের কাছে সর্বোচ্চ শাস্তি চায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতকে বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন, এজন্য দুদকের পক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন তিনি।

এরপর মির্জা আব্বাসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলার শুনানি সমাপ্ত না করতে আদালতকে অনুরোধ করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আগামী ৩০ নভেম্বর এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে, বিবাদীপক্ষ চাইলে আগামী ২৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন বলেও জানান।

এর আগে, আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার সম্পদের বিবরণী গোপন করার অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।

মামলাটির তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

যদিও পরবর্তীতে আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করেন।

এমএইচ