tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৮ পিএম

রাশিয়ার আক্রমণের ফল ভোগ করবে কয়েক প্রজন্ম: জাতিসংঘ


ukraine-1-20240223150522
টানা দুই বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (ফাইল ছবি)

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তার দুই বছর পূর্তির ঠিক আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার ট্যুর্ক বলেছেন, এই যুদ্ধের ফল কয়েক দশক ধরে মানুষ ভোগ করবে।


তিনি অবিলম্বে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। ট্যুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পুরোদস্তুর আগ্রাসনের একটা ভয়ঙ্কর মানবিক মূল্য রয়েছে। লাখ লাখ বেসামরিক মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে।

তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত করার দাবিও তুলেছেন। তিনি বলেছেন, যারা অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ট্যুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করতে চলেছে। এই যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে প্রচুর মানুষ ও পশুর মৃত্যু হয়েছে। ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চলেছে। ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কয়েকশ হাসপাতাল ও স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনের মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে এর ফল ভোগ করবেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশন জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ১০ হাজার ৫৮২ জনের মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা যাচাই করে দেখেছেন। এছাড়াও আরও অনেকে মারা যেতে পারেন। মৃতের সংখ্য়া আরও অনেকটাই বাড়বে।

ওডেসাতে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

ইউক্রেনের বন্দর ওডেসাতে রাশিয়ার ড্রোন হামলা হয়েছে। এর ফলে পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা জানা যায়নি। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে।

ওডেসা হলো দক্ষিণ ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর। এখানে প্রায়ই বিমান হামলা করে রাশিয়া।

প্যারিসে ইউক্রেন নিয়ে শীর্ষবৈঠক

এই বৈঠকের উদ্যোক্তা হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর শেষ হচ্ছে। এই সময় আবার সাহায্যকারী দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য এবং ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য আলোচনা করা দরকার।

এই শীর্ষবৈঠকে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ অংশ নেবে। ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়ছেন, ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে একটা বার্তা পাঠাতে চান। সেটা হলো, আমেরিকার সমর্থন নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও ইউরোপ এখনও ইউক্রেনের সঙ্গে আছে।

জার্মানির সিদ্ধান্ত

ইউক্রেনকে টরাস ক্রুজ মিসাইল দিচ্ছে না জার্মানি। এ নিয়ে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব পার্লামেন্টে খারিজ হয়ে গেছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি মনে করেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে।

বিরোধী সিডিইউ অবশ্য শলৎসের যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন চাইবেন, তখনই যুদ্ধের তীব্রতা বাড়বে। তাদের মতে, এই দূরপাল্লার অস্ত্র পেলে ইউক্রেনের সুবিধা হতো।

এনএইচ