উত্তরার সেই ভবনে ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা
Share on:
মধ্যরাতের আগুনে পুড়ল উত্তরার সাঈদ গ্র্যান্ড সেন্টারের একাধিক ফ্লোর। ১৬ তলা বিশিষ্ট সাঈদ গ্র্যান্ড ভবনটিতে রেস্টুরেন্ট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বায়িং হাউজ, কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্সেসরিজের দোকান, শোরুম রয়েছে। এছাড়াও হাইলি ফ্লেমেবল ব্যাটারি রয়েছে এই ভবনটির দোকানে। ভবনটিতে স্বল্প পরিসরে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস ভবনটির সাত থেকে নয় তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরেই আগুন সীমাবদ্ধ রেখে নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হয়। পুরোপুরি আগুন নেভাতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।
এই কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রাত ১টা ১৮ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পৌঁছায়। এর পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট। কাজে যুক্ত হয় ২২টি ইউনিট। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসময় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম তদারকি করতে উপস্থিত হন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, নয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। তবে আগুনের সূত্রপাত রেস্টুরেন্ট থেকে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি ভবনটিতে এত হাইলি ফ্লেমেবল আইটেম, কিন্তু কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। তবে ভবনে ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাপনা অল্প ছিল। সেগুলো কিছুটা কার্যকর হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবনে কোনো পানি ছিল না। এ বিষয়টি আমরা চেক করে দেখেছি। হাইড্রেন্টে কিছু পানি ছিল।
এনএইচ