যে কারণে আইপিএল ছাড়ছেন স্টোকস

আইপিএলের নিলামে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চতুর্থ সর্বোচ্চ দামে স্টোকস কিনে নেয়। তবে তিনি খেলেছেন কেবল দুটি ম্যাচ। সেখানেও তেমন অবদান রাখতে পারেননি এই ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক। ব্যাট হাতে করেছেন ১৫ রান, এক ওভার বোলিং করে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সেই চোট থেকে সেরে উঠতে না উঠতেই স্টোকস আরও একটি চোটে পড়েন। তবে সেই চোট নিয়ে কিছুটা রহস্য রেখে দেন চেন্নাই কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং। পরবর্তীতে তিনি কোনো ব্যাখ্যাও দেননি।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইপিএলের গ্রুপ পর্ব শেষ করেই ইংল্যান্ডে ফিরে যাবেন স্টোকস। আগামী ১৬ জুন শুরু হবে ৫ ম্যাচ অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে অ্যাশেজের প্রস্তুতি হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। ১ জুন শুরু হতে যাওয়া সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে স্টোকসের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে।

আগামী ২০ মে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলটির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। সেই ম্যাচে স্টোকস খেলবেন সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সেই ম্যাচ শেষেই তিনি ইংল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে। অ্যাশেজের আগে আইরিশদের বিপক্ষের টেস্টকে পাখির চোখ করে রেখেছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার।

ম্যাচ খেলার জন্য গত সপ্তাহে ফিট হন স্টোকস। ততক্ষণে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল তাদের একাদশ গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটাই। আর চোট থেকে ফেরা স্টোকস খেলতে পারেন একজন ব্যাটার হিসেবে। তাই ম্যাচ খেলার মতো ফিট হলেও ‘ব্যাটার’ স্টোকসের সুযোগ হয়নি একাদশে। চেন্নাই বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ভরসা রেখেছে মঈন আলী, মাথিশা পাতিরানা, মহিশ থিকশানা ও ডেভন কনওয়ের ওপর। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেও তিনি একাদশের বাইরে থাকতে পারেন। যা চেন্নাই কোচের ব্ক্তব্যে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে। দলে যথেষ্ট ভারসাম্য আছে এবং এক ম্যাচ হেরেই দল পরিবর্তনের সংস্কৃতি মানতে রাজি নন বলে জানান ফ্লেমিং।

এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ হবে ১৬ জুন। এরপর লর্ডসে ২৮ জুন হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ৬ ও ১৯ জুলাই হবে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট। এই দুই টেস্টের ভেন্যু লিডস ও ম্যানচেস্টার। আর লন্ডনের ওভালে ২৭ জুলাই হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।

এবি