লক্ষীপুরে শীতার্ত মানুষের মধ্যে জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণ

সে কল্যাণকামীতার ধারাবাহিকতায় আজ আমরা শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি পালন করছি বলে জানান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি এসময় দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকার সহ সমাজের বিত্তবান মানুষেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি লক্ষীপুর শহর জামায়াতের উদ্যোগে শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শহর আমীর অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সর্বমোট ১০০ জনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

ড. এম আর করিম বলেন, গণমানুষের সকল সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাংগঠনিকভাবে পালন করা সম্ভব না হলেও জামায়াতে ইসলামী নিজেদের সামর্থমত জনগণের সমস্যা সমাধানের বরাবরই চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু জুলুমবাজ ও স্বৈরাচারি সরকার জামায়াতের জনহিতৈষী কাজে সব সময় বাধা দিয়েছে।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সিলেটে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু সরকার এই মহীরূহতূল্য জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে মামলা দিয়ে কথিত রিমান্ডের নামে নাজেহাল করছে। তার বিরুদ্ধে কল্পিত ও বায়বীয় অভিযোগ জনগণের কাছে কোন ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হয়নি।

তিনি সরকারকে অপরাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই এই বরেণ্য জাতীয় নেতাকে মুক্ত করেই ছাড়বে-ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সরকার কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবিকে পাশ কাটানোর জন্য নানাবিধ ফন্দীফিকির শুরু করেছে। তারা চলমান গণআন্দোলনকে ব্যর্থ ও বিভ্রান্ত করার জন্যই সারাদেশেই গণগ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। গায়েবী মামলা সহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলোও সক্রিয় করে তাদেরকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। তারা বিদেশী কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগিদের কোন কথায় কর্ণপাত করছে না বরং কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে তাদেরকে নানাভাবে অপমানিত করা হচ্ছে। ফলে বর্হিবিশ্বে রাষ্ট্রের সম্মানহানী ঘটছে।

তিনি সরকারকে টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে ইতিহাসের প্রতিশোধের মুখোমুখী হতে হবে।

এন