বিচারপতির সই জালিয়াতি, মেয়র জাহাঙ্গীরের জামিন স্থগিত
Share on:
বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৮) জামিন ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া আদেশ তৈরি করেছিলেন। দুদকের তদন্তেও তার জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম।
গত ২১ মার্চ দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এর আগে গত ৭ মার্চ জাহাঙ্গীর দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
এ মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সচিব বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার রতন চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ সুখানগাড়ি বম্বপাড়ার সোলাইমান আলীর ছেলে আবদুল মজিদ।
জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সিও অফিস সড়কের আফতাব হোসেনের ছেলে। বেশ কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতিমূলে হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ সৃষ্টি করেন।
এরপর সেটি বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম ১০ বছর স্থগিত করান। পরে হাইকোর্টের নম্বর রিট পিটিশন মামলার ২০২২ সালের ১৬ মার্চ রায়ের আলোকে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
এসএম