tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০ পিএম

দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও রোড টানেল নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


prraassttrmntrii-chbi

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই।


মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুদিনব্যাপী 'অ্যাম্বেসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র প্রথম দিনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে করে কক্সবাজার যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে আমাদের দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন, কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 'অ্যাম্বেসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' আয়োজন করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সে কারণেই তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তারা কক্সবাজার যাবেন।’ বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘন্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।’ কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদের দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারেন, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।’

বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এখনো যদি তারা সুযোগ পান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান সিটি, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্সের ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধান এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

এসএম