tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১৮:১৫ পিএম

জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন সেলিম উদ্দিন


Pic (12)

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং জুলুমতন্ত্র, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।


সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার অঙ্গীকার ও প্রত্যয় গ্রহণের ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমী ও ইসলামপ্রিয় সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার‘ ধ্বনিতে রাজপথ প্রকম্পিত ও মুখরিত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল। তাই জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র এবং অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। অন্যথায় আমাদের জাতিসত্তাই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা হলেও বাকশালী শাসকচক্র দুবৃত্তায়ন ও মানুষের অধিকার হরণকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বানিয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার দেশে একদলীয় শাসন, বাকস্বাধীনতা হরণ এবং দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছিল। যার অনিবার্য পরিণতি ছিল ‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষ। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী গোটা দেশকেই কার্যত লঙ্গরখানায় পরিণত করেছিল। এমতাবস্থায় অধিকার বঞ্চিত ও বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের অপশাসন-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। দেশ ও জাতির এক সঙ্কটময় সন্ধিক্ষণে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাসী-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে একটি সফল ও সার্থক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তাই দেশকে অগণতান্ত্রিক ও অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হলে মহান জাতীয় বিপ্লবের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলেই জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ২০১৮ সালের নৈশভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশকে রীতিমত মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা আগামী নির্বাচনে একই কায়দায় আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দিবাস্বপ্নে বিভোর। তারা চলমান গণআন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করার জন্য জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা শুরু করেছে। কিন্তু তাদের স্বপ্নবিলাস সচেতন জনতা কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না। তিনি সরকারকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে কেয়ারকেটার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরাপদ প্রস্থানের আহ্বান জানান। অন্যথায় জনগণ অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় করবে।

-প্রেসবিজ্ঞপ্তি