tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ৩১ অগাস্ট ২০২৩, ১৯:০৬ পিএম

এবার হরিয়ানায় মুসলিম অঞ্চলে উচ্ছেদের হুমকি


২

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানা সম্প্রতি হিন্দু ও মুসলিমদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী হয়েছে। বিজেপিশাসিত এই রাজ্যটির নুহ জেলার পর এবার হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সেখানকার মুসলিম মহল্লায় লাগানো হয়েছে উচ্ছেদের পোস্টার।


দিল্লি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত হরিয়ানার গুরগাঁয়ে ৬৯এ সেক্টরে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহান্তে তাদের মহল্লায় অন্তত ১০টি পোস্টার পাওয়া গেছে। যেখানে লেখা- প্রাণে বাঁচতে হলে দুই দিনের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।

মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবেই ওই পোস্টার দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে প্রশাসন এসে ওই পোস্টারগুলো খুলে নিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু কারা এ কাজ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

অবশ্য পোস্টার লাগানোর ঘটনা ওই অঞ্চলে এই প্রথম নয়। স্থানীয় নারীদের অসম্মান করে এর আগেও সেখানে পোস্টার লাগানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নুহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি মাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তার কয়েকদিনের মধ্যেই ওখানে নারীদের নামে পোস্টার দেওয়া হয়। নারীদের নামে পড়া ওই পোস্টার ডয়চে ভেলে দেখেছে। সেখানে নারীদের অসম্মান করে নানা কথা লেখা হয়েছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক নারী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘কারা এ কাজ করছে, পুলিশ তা জানে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো আমাদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে।’

পুলিশের সহকারী কমিশনার মনোজ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই পোস্টারগুলো আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’

একইসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ওই জমিতে যারা আছেন, তারা বেআইনিভাবে আছেন। তবে সরাসরি তাদের তুলে দেওয়ার কথা বলেননি মনোজ।

ওই মহল্লায় যারা বসবাস করেন, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। আশপাশের বাড়িতে কাজ করে তারা দিন পার করেন। সংবাদমাধ্যমকে তারা জানিয়েছেন, সকালে বাড়ির বড়রা বেরিয়ে যান কাজে। ছোটরা স্কুল থেকে ফিরে একাই থাকে। সে সময় কিছু ঘটে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা তাদের আছে।

বিশেষ করে শিশু এবং কিশোরী মেয়েদের নিয়ে তাদের সবচেয়ে বেশি চিন্তা। কারণ, তাদের নিয়েই ওই পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছিল।

এমআই