ডিসেম্বরের আগেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: শামসুজ্জামান দুদু

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলি, তার যদি কিছু হয়, তাহলে এটাকে দেশবাসী ও বিএনপি হত্যাকাণ্ড বলে গ্রহণ করবে, এটা সরকারের মাথায় রাখতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন, তার হত্যার বিচার হয়েছে। জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারও করা হবে। বর্তমান সরকার যদি এটা মনে রাখে, তাহলে তাদেরও ভালো হবে, দেশেরও ভালো হবে, আমাদেরও ভালো হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের গোটা পুলিশের মধ্যে ৫ পার্সেন্ট হয়তো খারাপ। বাকি ৯৫ পার্সেন্ট ভালো। কিন্তু এই সরকার গোটা পুলিশকে এমন করেছে যে জনগণ পুলিশকে ভালো চোখে দেখে না। পুলিশ তো চাকরি করে। তারা না থাকলে এই সমাজ ভালো থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র নোবেল পেয়েছেন ড. ইউনূস। সারা দেশের মানুষ, সারা বিশ্ব তার পক্ষে। শুধু সরকারপক্ষের গুটিকয়েক মানুষ তার বিপক্ষে। আইনমন্ত্রী বলেছেন তার (ড. ইউনূস) পক্ষে কথা বললে কোনও অসুবিধা নাই। সহকারী অ্যাটর্নি ইমরান বলেছেন, ইউনূস ভালো মানুষ, তার বিপক্ষে আমি স্বাক্ষর করবো না। এখন ইমরান সাহেবের নেমপ্লেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ইমরান তো আপনাদেরই লোক। একটু ভিন্নমত পোষণ করেছে। তাতেই আপনাদের এই দশা?

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একবার বললো, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তারপর বললো, কেউ এলে আসুক না এলে নেই। তারা ৪ তারিখে নির্বাচনের ঘোষণা দিল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন আপনারা করতে চান। ভেবেচিন্তে কইরেন।

এ দেশের বুদ্ধিজীবী নামের ১৭১ জন চিহ্নিত হয়েছে। তারা কী জিনিস, এ দেশের জনগণ চিনেছে। ৬০ জন সম্পাদকও চিহ্নিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও চিহ্নিত হয়েছে, বলেন তিনি।

এ সময় তিনি সবাইকে বিএনপির এক দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজপথে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ।

এবি