tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম

চাঞ্চল্যকর রেনু হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষা


renu_20240930_081445829
২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ইনসেটে রেনু।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।


সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা রয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার অপেক্ষায় রেনুর স্বজনেরা।

ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে হত্যা মামলাটি বিচারাধীন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেনু তার চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর বিষয়ে খোঁজ নিতে যান। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী তাকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ করেন। এই গুজব দ্রুত বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশ থেকে বিভিন্ন বয়সী কয়েক শ নারী-পুরুষ স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। তাদের কবল থেকে রক্ষা করতে রেনুকে স্কুলের দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে রাখা হয়।

কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ কলাপসিবল গেট ভেঙে দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে এনে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে, পেটায় লাঠি দিয়েও। এভাবে আধা ঘণ্টা অমানবিক নির্যাতনের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রেনু। এ ঘটনায় রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এদের মধ্যে জাফর ও ওয়াসিম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। তাদের বিচার শিশু আদালতে হবে।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষনিকা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, মামলা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গণপিটুনিতে নিহত রেনু ইডেন কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেছিলেন। পরে তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেন। বিয়ের পর আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেন। বড় ছেলের বয়স যখন দেড় বছর, তখন চাকরি ছেড়ে দেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার বছর তিনেক আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন ছেলে থাকত বাবার কাছে এবং মেয়ে থাকত মায়ের কাছে। চিকিৎসা করানোর পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

এনএইচ