গ্রিসে নৌকাডুবি, ৩০ অভিবাসীর মৃত্যু
Share on:
গ্রিসে অভিবাসীবাহী বোট ডুবিতে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ডরা। উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মধ্যে একটি শিশু এবং তিনটি নারীর। জীবিতদের সন্ধানে অ্যাজিয়ান সমুদ্রে ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রিক কোস্টগার্ডরা।
গ্রিসে অভিবাসীবাহী বোট ডুবিতে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ডরা। উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মধ্যে একটি শিশু এবং তিনটি নারীর। জীবিতদের সন্ধানে অ্যাজিয়ান সমুদ্রে ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রিক কোস্টগার্ডরা।
গত শুক্রবার ( ২৪ ডিসেম্বর) দিনশেষে তারা ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। একটি বোট উল্টে প্যারোস দ্বীপের কাছে ডুবে গেলে সেখানে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা হয় ৬৩ জনকে।
অনলাইন আল জাজিরা বলছে, ওই বোটটিতে প্রায় ৮০ জন মানুষ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা তুরস্ক থেকে ইতালির উদ্দেশে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন।তুরস্কের চেসমে এবং বদ্রুম উপকূলে পাচারকারীরা এসব অভিবাসীকে বর্তমানে অধিক বিপজ্জনক রুটে ইতালি পাঠাচ্ছে বলে রিপোর্ট করেছে ইআরটি টেলিভিশন।
গত বুধবার থেকে এ নিয়ে তিনটি বোটডুবি হলো। এতে কয়েক মাসের মধ্যে গ্রিক জলসীমায় পাচারকারীরা কতটা তৎপর হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট হয়েছে। এর কয়েক ঘন্টা আগে আরেকটি বোট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি মৃতদেহ।
এই বোটটি বৃহস্পতিবার রাতে আন্তিকিথেরা নামের গ্রীসের উত্তরে একটি ছ্ট্টো দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। শনিবার কোস্টগার্ডরা বলেছেন, উদ্ধার করা দু’ব্যক্তিকে পাচারের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দ্বীপে আটকে পড়া ৯০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে রাতের বেলায় একটি বোটে করে ৫০ জন অভিবাসীকে নিয়ে ফোলেগান্দ্রোস দ্বীপের কাছে ডুবে যায়।
সেখানে বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জনকে। এ কথা জানিয়েছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ। জীবিতরা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তারা বলছেন, বোটটিতে তারা ৩২ জন ছিলেন। অন্যরা বলছেন, এ সংখ্যা প্রায় ৫০।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআরের হিসাবে এ বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে এভাবে ইউরোপ পৌঁছার চেষ্টা করতে গিয়ে কমপক্ষে ২৫০০ মানুষ মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে প্রবেশের জন্য অভিবাসীদের কাছে জনপ্রিয় রুটগুলোর অন্যতম হলো গ্রিস। এই রুটে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরের অভিবাসীরা ইউরোপে প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, শুধু ২০১৫ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে গিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই সিরিয়ার শরণার্থী।
এইচএন