বাংলাদেশে আসলো মোবাইল এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড অক্সেন
Share on:
বাংলাদেশের বাজারে আসলো অক্সেন। নতুন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ নিয়ে এসেছে অক্সেন হাইটেক।
অ্যারিসটোক্রেসি অ্যান্ড কোয়ালিটি- এই শ্লোগান নিয়ে পণ্য বাজারজাত করছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিজাত এবং উচ্চমানের পণ্য দিয়ে গ্রাহকদের মন জয় করতে চায় অক্সেন।
এবছর সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে অক্সেন। অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে মার্কেটিং কার্যক্রম। মিরপুর অফিস থেকে সারাদেশে প্রোডাক্ট ডিস্ট্রিবিউশন করছে তারা।
অক্সেন এর হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমান জানান, দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটারদের তারা যুক্ত করেছেন অক্সেন টিমে। দক্ষ এবং মেধাবী এই টিম যে কোনো মার্কেটিং টিমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। এরইমধ্যে বিক্রয় এবং কৌশলগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। সেলস লিডারগণ দেশব্যাপী কাজ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশে এতো ব্র্যান্ড থাকতে আবার অক্সেন কেন? – এ প্রশ্নের উত্তরে মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের বাজার ছেয়ে গেছে নিম্নমানের পণ্যে। কোন ব্র্যান্ডই গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নিতে পারেনি। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা শোরুমে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের এক্সেসরিজ এর কথা বলেন না। এর মানে কোনোটাই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হয়ে উঠেনি। এসব বিবেচনায় উচ্চমানের পণ্য এবং সেবা নিয়ে এসেছে অক্সেন। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য অভিজাত এবং সেরা মানের পণ্য দিয়ে ব্র্যান্ড তৈরি করা। ব্র্যান্ডের নামটিও খুব সুন্দর। আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে মান সম্পন্ন পণ্য পৌছে দিতে চাই।’
জানা গেছে, প্রথম দিকে নিজস্ব ব্যাবস্থাপনায় পণ্য সোর্সিং করছে অক্সেন। পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশেই কারখানা স্থাপন করবে তারা। এখন শুধু এক্সেসরিজ বাজারজাত করছে তারা। শিগগীরই ফিচার ফোন এবং স্মার্টফোন যুক্ত হবে প্রোডাক্ট লাইনে। বর্তমানে অক্সেন বাজারজাত করছে- চার্জার, ইউএসবি ক্যাবল, পাওয়ার ব্যাংক, হেড ফোন, টিডব্লিউএস, স্মার্টওয়াচ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এক্সেসিরিজ এর বাজার বার্ষিক প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার। আগামি ২ বছরের মধ্যে তা ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে খাতসংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এদিকে অক্সেন কর্তৃপক্ষ জানায়, মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ এর বাজার বিশ্বব্যাপী উর্ধমূখী। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আরো ভালো ব্র্যান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। অক্সেন এর লক্ষ্য- বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে ব্যাপক উৎপাদনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাজারজাত করা।