সৌদি-ইসরাইল আলোচনা নষ্ট করতেই হামলা চালিয়েছিল হামাস : ইসরায়েল
Share on:
মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তা নষ্ট করতেই গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।
বুধবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে।
‘সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তা নস্যাৎ করতেই ৭ অক্টোবরের হামলা চালিয়েছে হামাস। কারণ দুই দেশের সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হবে এবং সেটাই হামাসের মূল মাথাব্যাথা।’
কারণ হামাস এই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে না। তারা কেবল চায় মৃত্যু আর ধ্বংস। তাদের ৭ অক্টোবরের হামলার মূল কারণও এটাই।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহারাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়। মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর চলতি বছরের শুরু থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে এ বিষয়ক আলোচনা শুরু করে ইসরায়েল। সেই আলোচনা অনেক দূর অগ্রসরও হয়েছিল।
এর মধ্যেই গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
হামাস যোদ্ধাদের হামলার জবাবে একই দিন থেকে ইসরায়েলে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।
সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন।। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
এসএম