বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার টিপস
Share on:
কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টির এমন ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সবাই। এ সময় ফ্যান, পাখা ও এয়ার কন্ডিশনের বাতাস এনে দেয় প্রশান্তি। কিন্তু এমন গরমেও বিদ্যুৎ ব্যবহারে হতে হবে সাশ্রয়ী।
কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জটিল প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। বিদ্যুৎ- ঘাটতি মোকাবিলায় এক ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে যেমন মিতব্যয়ী হতে হবে তেমনই কিভাবে বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করেও গরমে আরামে থাকবেন জেনে নিন।
১. বাড়ি তৈরির সময় কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। পশ্চিম দিকে রান্নাঘর, আর দক্ষিণ দিকে শোবার ঘর রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আলো-বাতাস বেশি ঢোকে। যার জন্য বাতি ও পাখার ব্যবহার সীমিত করা সম্ভব হয়।
২. বাড়ির জানালাগুলোতে রঙিন কাচ ব্যবহার না করে স্বচ্ছ কাচ লাগালে প্রাকৃতিকভাবে বেশি আলো পাবেন। দিনের বেলা রান্নাঘর ও বাথরুমে পর্যাপ্ত আলো থাকা সত্ত্বেও বাতি জ্বালানোর অভ্যাস বর্জন করুন।
৩. গরমে অনেকেই নিয়মিত এসি ব্যবহার করে থাকেন। নিয়মিত এসি সার্ভিসিং করিয়ে তাপমাত্রাও নির্ধারণ করে নিবেন। ঘুমানোর আগে টাইমার সেট করে রাখুন।
৪. একটি কম্পিউটার ২৪ ঘণ্টা চললে তা একটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজের চেয়ে বেশি শক্তি গ্রহণ করে। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এটি ব্যবহার না করার শ্রেয়। কম্পিউটার যদি অন রাখতেই হয় তবে মনিটর বন্ধ করে রাখুন। কারণ, মনিটর একাই সিস্টেমের ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
৫. সোলার লাইট বা সৌরবাতি ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ুন। এতে বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করতে পারবেন।
৬. কাপড় ময়লা হলেই ওয়াশিংমেশিনে না দিয়ে বরং ধুয়ে ফেলুন। এরপর বাইরে রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিবেন। এর ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে।
৭. ব্লেন্ডার, এগ বিটার, ফুড প্রসেসর, টোস্টার, স্যান্ডুইচ মেশিন, জুসার ইত্যাদির ব্যবহার কমান। নিজের হাতে কাজগুলো করুন। এতে কায়িক পরিশ্রম হবে, শরীরও সুস্থ থাকবে। কারণ শরীর না খাটালে বা পরিশ্রম না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা রকম ক্যানসার হতে পারে।
এইচএন