tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৬:২৯ পিএম

৯৪ শতাংশ নারী গণপরিবহনে হয়রানির শিকার


Rape.jpg

নারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেশিরভাগই কার্যকর রাখা যায়নি। ব্র্যাকের গবেষণা বলছে প্রায় ৯৪ শতাংশ নারীই গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার।


গণপরিবহনে দিন দিন বাড়ছে নারী হয়রানি। কখনও পুরুষ যাত্রী কখনও বা পরিবহন শ্রমিকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে নারী যাত্রী।

নারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেশিরভাগই কার্যকর রাখা যায়নি। ব্র্যাকের গবেষণা বলছে প্রায় ৯৪ শতাংশ নারীই গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার।

একই সময়ে অফিস। কিন্তু পুরুষ যাত্রীদের হুড়োহুড়ি আর হেলপারের অনীহায় নারীর জন্য বাস ধরা কয়েকগুণ কঠিন।

নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে তাই পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় নিয়মিত।

প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে বাস যাত্রায় বেশিরভাগ নারীর আছে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। তারা বলেন, বাসে মহিলা সিটেও সিট পাওয়া যায় না। পুরুষরাই বসে থাকে।

অথচ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রতিটি টাউন সার্ভিসে অন্তত নয়টি আসন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা। বেশিরভাগ সময়ই যা থাকে পুরুষদের দখলে।

এ ব্যাপারে চালক-হেলপারও গা করেন না। শুধু তাই নয়, বাসে ওঠার সময় অনেক হেলপারের হয়রানির শিকার হতে হয় নারী যাত্রীদের।

বাস.jpg

ব্র্যাকের গবেষণা বলছে, দেশের প্রায় ৯৪ শতাংশ নারীই গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার। চলতি বছরের মে মাসে আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিক (নারীকে) চলন্ত বাসে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়।

এর আগে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে এক নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয়। চলন্ত বাসে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে দেশের গণপরিবহনে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অবস্থার পরিবর্তনের জন্য পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।

মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, নারীদের জন্য পরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।পাশাপাশি মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হয়।

২০১৮ সালে নারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য রাজধানীতে দোলনচাঁপা বাস সার্ভিস চালু হয়।

বর্তমানে সেই সার্ভিসে মোটে একটি বাস টিকে আছে। আর বিআরটিসির ২২টির মধ্যে বর্তমানে চলছে হাতে গোনা কয়েকটি।

এইচএন