tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৪ পিএম

সাবেক ভিসি ডা. শারফুদ্দিনের ব্যাংক হিসাব চায় দুদক


image-293361-1727610482

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এসব চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে দুদক জানায়, বিএসএমএমইউর চক্ষু ডাক্তার ও সাবেক ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ-এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে একই সঙ্গে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুদক তিন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে।

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. নাফিজা আহমেদ, তিন সন্তান তাজবীর আহমেদ, তানবীর আহমেদ ও তাহমিদ আহমেদ সাদাত।

অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাদের নামে কোনো ধরনের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, মেয়াদি আমানত, লকার, সঞ্চয়পত্র, ঋণ হিসাব, ডিপিএস (চলমান, বন্ধ ও সুপ্ত অবস্থায়) বা অন্য কোনো প্রকার হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসবের পূর্ণাঙ্গ লেনদেনের বিবরণী পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে দাখিল করা সংশ্লিষ্ট তথ্যাদির রেকর্ডপত্রও পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে ১৯ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও তার পিএস ডা. রাসেলের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

দুদক সচিব বলেন, বিএসএমএমইউ এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও তার পিএস ডা. রাসেল ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য করে ১০০ কোটি টাকা ঘুস আদায়, যোগ্যতার ঘাটতি নিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে অনিয়মের আশ্রয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ প্রদান, অনৈতিক অর্থ উত্তোলন, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০২১ সালের ২৯ মার্চ বিএসএমএমইউয়ের একাদশ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এই সময়ে তিনি দুই হাজারের বেশি নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি।

এমএইচ