পঞ্চগড়ে কমছেই না শীতের দাপট, স্থবির জনজীবন
Share on:
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমছে না শীতের তীব্রতা। রাতদিনের অধিকাংশ সময়েই মৃদু বাতাসের সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রোববার একটি সময়ে যা ছিল ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল সকাল ৯টায় ছিল ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাসেল শাহ্ বলেন, গত কয়েকদিন থেকেই এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বিশেষ করে হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানে শীত বেশি পড়ে। এই সময়ে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
কয়েকদিন ধরে পড়া ঘন কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের জিনিসও ঝাপসা দেখাচ্ছে। দিনের বেলাতেও জেলার সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে হাওয়া বইছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সকাল ১০টার দিকে উত্তাপহীন সূর্য কিছু সময়ের জন্য উঁকি দিলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
পঞ্চগড় ছাড়াও আশপাশের জেলা-উপজেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এনএইচ