tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৪ জুন ২০২৪, ২১:০৬ পিএম

বিএনপি ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির কথা ভুলে গিয়েছিলেন : কাদের


image-820010-1719237648

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন।


বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের সফলতা দেখে না। প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে এ চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে।

সোমবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন ছিল প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এ সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। শেখ হাসিনা এ সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এ আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐকমত্য হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

তিনি বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

তিনি বলেন, বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা ঘটেছিল। ভারতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর তার কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকারপ্রধান, যিনি যেকোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এসএম