ই-ভিসা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ-আমিরাত সমঝোতা স্বাক্ষর
Share on:
বাংলাদেশে ই-ভিসা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আল মৌদি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ এমওইউ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে জিটুজি (সরকার-টু-সরকার) ভিত্তিতে বাংলাদেশ ই-ভিসা/ই-টিএ সিস্টেম বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গৃহীত হলো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ই-ভিসা সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আজকের দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় অর্জন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে এবং উভয় দেশই ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সদস্য। বাংলাদেশে বিরাট সংখ্যক শ্রমিক ও দক্ষ জনবল সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক ভিত্তি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা। আমি বিশ্বাস করি দুই দেশের মধ্যকার বেশ কিছু পারস্পরিক বিষয় রয়েছে যার আরও প্রবৃত্তি ঘটিয়ে জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়াতে পারি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ, যা অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বাংলাদেশি ই-ভিসা বাস্তবায়নও প্রধানমন্ত্রীর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষ গুরুত্বরোপ করেছেন।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ ইদানীং অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম সহজেই বিভিন্ন বিষয়ে সেবা দিচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ই-ভিসা বাস্তবায়ন হলো সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রয়াস যার মাধ্যমে অনলাইন ভিসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, যেসব বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক তারা সহজেই ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি এটি বিদেশি বিনিয়োগ এবং পর্যটন খাতে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এন