এই দেশ জনগণের, কোন স্বৈরাচারির নয়: আব্দুর রহমান মূসা
Share on:
বর্তমান সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা জানাতে ২৮ অক্টোবর দলমত নির্বিশেষে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশ সাংবিধানিকভাবেই গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তাই এই দেশ জনগণের। জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।’
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহানগরীর সকল থানা, ওয়ার্ড সভাপতি, ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও তদুর্ধ্ব দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় এবং মাওলানা অধ্যাপক আবু ইহসানের দারসুল কোরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ২০১৪ সালে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫৪ জন দলীয় প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে দেশের গণতন্ত্রের ললাটে কলঙ্কতিলক লেপন করেছে। ২০১৮ সালের নৈশ্যভোটের নির্বাচন শুধু দেশ ও জাতি নয় বরং প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। যা ক্ষমতাসীনদের নির্লজ্জতা ও বেহাপনার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারা আবারো পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের এ ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না।’
তিনি সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকারের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন বা বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ভণ্ডুল করা তাদের দায়িত্ব নয়। অথচ একশ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তার কথায় মনে হচ্ছে, তারাই এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্তা বনে গেছেন।’
তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। শান্তিপ্রিয় জনতার গায়ে হাত দেবেন না।’
তিনি জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংবিধান ও আইন মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সাথে আমাদের আবেগ-অনুভূতি এবং আত্মসম্মান জড়িত। এদিনের আত্মত্যাগই আমাদের আগামী দিনের প্রেরণার উৎস। ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবরেই সারাদেশে ৩৫ ভাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছিলেন। তাই শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে আমাদের পিঁছুটান নেয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি সরকারের পতন ও ২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি