গাজা আগ্রাসন বন্ধ হলেই কেবল লোহিত সাগরে হামলা থামবে
Share on:
গাজ উপত্যকায় ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে গত নভেম্বর মাস থেকে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করে আসছে ইয়েমেন।
এরপর গতমাসে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী হুথিদের অবস্থানে বিমান হামলা শুরু করার পর থেকে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোতেও হামলা শুরু করে সানা।
মঙ্গলবার আব্দুস-সালামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলে লোহিত সাগরে তাদের হামলা বন্ধ হবে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে সেখানে অবাধে মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে দিলে আমরা হামলা বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করব।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭০,০০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইয়েমেনে হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, গাজা গণহত্যায় ইসরাইলের পক্ষ অবলম্বন করেনি- এমন কোনো দেশের জাহাজে তারা হামলা চালাবে না। কিন্তু তারপরও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি জাহাজ চলাচলকারী প্রতিষ্ঠান লোহিত সাগর দিয়ে তাদের জাহাজ চালানো পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে।
জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সামেহ শুকরির হুঁশিয়ারি
গাজা উপত্যকার সর্ব-দক্ষিণের শহর রাফাহতে স্থল আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি গতকাল (মঙ্গলবার) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ বা ইউএনএইচসিআর- এর ৫৫তম সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, রাফাহতে আগ্রাসন চালালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ এবং তা মাধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে ভণ্ডুল করবে। শুকরি বলেন, “বিশ্ব বর্তমানে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধযজ্ঞ ও সহিংসতা প্রত্যক্ষ করছে।” ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট ইউএনএইচসিআর- এর কোনো সদস্যদেশ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিহত করার ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি এসব দেশের সমালোচনা করেন।
হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করে গাজা থেকে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছিলেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত প্রায় পাঁচ মাস গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল তন্ন তন্ন করেও পন্দবন্দিদের দেখা পায়নি তেল আবিব।
এদিকে উত্তর ও মধ্য গাজার লাখ লাখ অধিবাসী ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচতে মিসরের সীমান্ত সংলগ্ন রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় ওই শহরে স্থল আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে তেল আবিবকে সতর্ক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ। আর রাফাহতে হামলা হলে সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ মিসরে চলে যেতে পারে বলে কায়রো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।