tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪র্থ দফায় অবরোধ চলছে


790844_118

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে চতুর্থ দফার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শুরু হয়েছে আজ রোববার। টানা ৪৮ ঘণ্টার এই অবরোধ রোববার ভোর থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলবে।


চতুর্থ দফা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের আগের রাতে শনিবারেই রাজধানীতে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে এসব গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া ফার্মগেট ও গুলিস্তান আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কাছাকাছি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাত ৮টা ২০ মিনিটে নটর ডেম কলেজ পুলিশ বক্সের সামনে লাল সবুজ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর ১০ মিনিট পর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে গাবতলী এক্সপ্রেস পরিবহনের (৮ নম্বর রুটের) একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে রাত ৯টার দিকে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ওদিকে রাত ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের তালতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে শিখর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। রাত পৌন ১২টার দিকে কাফরুল থানার বিপরীতে মিরপুর ১৩, প্রজাপতি পরিবহন গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের যুগীতলা এলাকায় একটি পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে ফের টানা দু'দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এরআগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২; ৫, ৬ এবং ৮ , ৯ নভেম্বর তিন দফায় অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা পূর্বের হরতাল ও অবরোধে রাজধানী ঢাকায় কম পিকেটিং মিছিল হলেও রাস্তায় গণ পরিবহন চলেছে একবারে সীমিত আকারে। রাজধানীবাসি ব্যক্তিগত কাজে রিকশা, সিএনজি ও প্রাইভেট কার নিয়ে চলছে। এর সংখ্যাও স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তবে ঢাকার বাইরে ব্যাপকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সংঘাতে পন্ড হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল , যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের উল্লেখ যোগ্য নেতাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

২৮ অক্টোবর রাত ১০ টার পর থেকে এখনো নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ, সেদিনের সংঘাতের পর থেকে কোনো নেতাকর্মী বা অফিস সহকারীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া অবস্থান। কাঁটাতারে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।

এনএইচ