হাঙ্গেরিতে ‘পুতুল সরকার’ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইইউ: ভিক্টর অরবান
Share on:
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। একইসঙ্গে একটি ‘পুতুল সরকার’ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তিনি।
বুধবার সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বার্ষিকীতে বুদাপেস্টের মিল্লেনারিস পার্কে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে এই দাবি করেছেন। তিনি তার এই প্রতিরোধকে ১৯৫৬ সালের সোভিয়েত-বিরোধী বিদ্রোহের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এসোসিয়েট প্রেস (এপি)।
ইইউ ও ন্যাটো মিত্রদের সবাই রাশিয়ার ইউক্রেণ আক্রমণকে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন এবং ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু রাশিয়ার প্রতি বরাবরই অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে অরবানের।
ব্যাপক ভাবে মনে করা হয়, সব ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক খুবই উষ্ণ। পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়েনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় অরবানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি তারা আমাদের ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়াতে চায়, আমাদের দেশে অভিবাসীদের চাপিয়ে দিতে চায়। তাদের একটি পুতুল সরকার রয়েছে, একটি দল রয়েছে যা তারা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়।
গত ১৪ বছর ধরে হাঙ্গেরির ক্ষমতায় আছেন অরবান। কিন্তু বর্তমানে বচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে জরিপে পিটার মাগিয়ার নেতৃত্বে একটি বিরোধী দলে উত্থান ঘটেছে। যা অরবানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিরোধী নেতা পিটার মাগিয়ারকে ইঙ্গিত করে অরবান বলেন, হাঙ্গেরির বর্তমান সরকাকে সরাতে বিদেশিদের সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে কোনো তহবিল দেবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন ওরবান। ইউরোপীয়দের পাশাপাশি মার্কিনরা যদি অর্থ ও অস্ত্র না দেয়, তাহলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র অর্থ না দিলে ইউরোপীয়রা একা যুদ্ধের খরচ চালাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন। এসব বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাখোশ হাঙ্গেরির ওপর।
এনএইচ