জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ে জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে: মাওলানা হালিম
Share on:
কেয়ারটেকার সরকারের দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলই দুইবার করে ক্ষমতাসীন হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সংবিধানে সন্নিবেশিত কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থাকে ২০১১ সালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদালতের মাধ্যমে বাতিলের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত অঞ্চলের রংপুর মহানগরী, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলার দায়িত্বশীলদের যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ২৮ জুলাই মহানগরীসমূহে ও ৩০ জুলাই জেলা সদরে মিছিল এবং ১ আগষ্ট ঢাকা মহানগরীতে সমাবেশের কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলগণকে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণকে জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১০ জুন জামায়াত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে প্রমাণ করেছে যে, জামায়াত সব সময় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল ক্ষেত্রে গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে জামায়াত বর্তমান সময়েও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকার ও মাওলানা আবদুল খালেক, রংপুর মহানগরী আমীর মাওলানা এটিএম আজম খান, নীলফামারী জেলা আমীর জনাব আবদুর রশিদ, কুড়িগ্রাম জেলা আমীর মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী, লালমনিরহাট জেলা আমীর প্রভাষক আতাউর রহমান ও পঞ্চগড় জেলা আমীর ইকবাল হোসাইন।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)