tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৫ জানুয়ারী ২০২২, ১০:১২ এএম

ইউক্রেন উত্তেজনা, মার্কিন সৈন্য প্রস্তুত


মার্কিন.jpg

পেন্টাগন জানিয়েছে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পাশ্চাত্যের মধ্য তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রেখেছে।


পেন্টাগন জানিয়েছে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পাশ্চাত্যের মধ্য তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রেখেছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করলেও কাছাকাছি স্থানে ১ লাখ সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন 'রুশ আগ্রাসনের' বিরদ্দে অভিন্ন কৌশল গ্রহণের পন্য সোমবার ইউরোপিয়ান মিত্রদের সাথে ভিডিও সম্মেলন করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সাড়ে ৮ হাজার সৈন্য প্রস্তুত রাখলেও তাদেরকে কোথায় মোতায়েন করা হবে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে।

এদিকে ন্যাটো জোট ঘোষণা করেছে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় পূর্ব ইউরোপে জোটের সদস্য দেশগুলোতে বাড়তি যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠানো হচ্ছে। ন্যাটো বলছে তাদের সৈন্যদের প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

এদিকে, ব্রিটেন ইউক্রেনে তাদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাহার করছে। ব্রিটিশ সরকার বলছে রাশিয়ার সামরিক হুমকির মুখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর জানাচ্ছে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ কূটনীতিকদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি তৈরি না হলেও তারা কিয়েভে তাদের দূতাবাসের অর্ধেক কর্মীকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে।

তবে ব্রিটেন কিয়েভে তাদের দূতাবাস খোলা রাখছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশে চলে আসার নির্দেশ দেয়। ইউক্রেনে আমেরিকান কোম্পানির সরাসরি নিযুক্ত কর্মীদেরও স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আমেরিকা বলছে আক্রমণ 'যেকোনো মুহূর্তে' ঘটতে পারে। আমেরিকা তার নাগরিকদের এখন ইউক্রেন বা রাশিয়ায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

রাশিয়া কোনরকম সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে, যদিও সীমান্তে রুশ সৈন্য সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে এখনই এধরনের প্রত্যাহার অযৌক্তিক।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে তারা ইউক্রেন থেকে তাদের দূতাবাস কর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের এখনই প্রত্যাহার করছে না। তবে, জার্মানি বলেছে, তাদের কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে ইউক্রেন ছাড়তে পারে।

সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি।

এইচএন