ভোটদানে প্ররোচিত করলে ভোট কর্মকর্তার ৫ বছরের জেল: ইসি
Share on:
আসন্ন পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে কোনো ভোট কর্মকর্তা যদি কাউকে ভোটদানে প্ররোচিত বা নিবৃত করলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত চিঠি সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধি ৭৯ অনুসারে কোনো রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য কমপক্ষে ছয় মাস ও অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন, যদি তিনি কোনো নির্বাচন পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা অথবা কোনো ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে-
(ক) কোনো ব্যক্তিকে ভোটদানে প্ররোচিত করেন:
(খ) কোনো ব্যক্তিকে ভোটদান হতে নিবৃত করেন;
(গ) কোনো ব্যক্তির ভোটদানকে যেকোনো পন্থায় প্রভাবিত করেন;
(ঘ) নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে অন্য কোন কাজ করেন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চলছে নির্বাচনী প্রচার। খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। তফসিল অনুযায়ী, এই দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।
এছাড়া রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন।
এমআই