শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের স্কলারশিপ উন্মুক্ত
Share on:
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং যুক্তরাজ্য সরকার পরিচালিত গ্রেট স্কলারশিপের আবেদন উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় ২০২৩ সালের শরৎ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশিরা দেশটিতে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পাবেন।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, দেশটির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ১১ ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দিতে সহায়তা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল :
অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটি, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি, ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটি, কিলি ইউনিভার্সিটি, রবার্ট গর্ডন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার, আলস্টার ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়া, ইউনিভার্সিটি অব হাল এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন।
ব্রিটিশ হাইকমিশন বলছে, গ্রেট স্কলারশিপের লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে বিদেশিদের শিক্ষার ক্ষেত্র প্রশস্ত করা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্য গেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় গন্তব্য।
প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিশ্বের সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। গ্রেট স্কলারশিপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণ করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিক্ষা পরিচালক ডেভিড মেনার্ড বলেন, বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিল যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জন্য বিস্তৃত স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করে।
বছরের পর বছর ধরে এই বৃত্তি প্রোগ্রামগুলো বাংলাদেশিদের জন্য অসাধারণ সুযোগ দিচ্ছে। শুধু একাডেমিক স্তরেই নয়, এটি তাদের নমনীয়তা, সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং অন্য দেশের মানুষ কীভাবে কাজ করে এবং চিন্তা করে তা বোঝারও সুযোগ করে দেয়। যার ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
এন