অধিকার আদায়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
Share on:
মানুষের অধিকার আদায়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন দক্ষিণ থানার উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার দেওয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চলমান শীতের এই মৌসুমে নগরীর অসহায় মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। সারাদেশের মতো ঢাকা নগরীতেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী গোষ্ঠী দেশের মসনদে থেকেই আজীবন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া।
তিনি বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লুটপাট, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প কিছু নেই। এমতাবস্থায় গণবিরোধী এই সরকারকে বিদায় করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
দক্ষিণের সেক্রেটারি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি সংগঠন। দেশের মানুষের যেকোনো সংকটে, দুর্যোগে, দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে ঐতিহাসিকভাবে জামায়াত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিগত ১৫ বছর আমাদের উপরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার অব্যাহতভাবে জুলুম করেছে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে করতে এখন তারা পুরো দেশবাসীকে দেওয়ালে পিঠ ঠেকানোর মতো করে ফেলেছে। এর মাঝেও জামায়াতে ইসলামী একটি সফল ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অথচ সরকার জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমাদেরকে সাজা দেওয়া সহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে সমাজ ও মানবতার কল্যাণে জামায়াতের সার্বিক কার্যক্রমের ফলে জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছে। এই জনগণ আমাদের সাথেই আছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের সাথে তারা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলেও সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারবে। এই তামাশার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হওয়া মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের পরাজয় হওয়া। এই ডামি নির্বাচনে কোনো রকম সহযোগিতা করা মানেই হলো রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ করা। প্রহসনের নির্বাচনে প্রত্যেক সহযোগীকে সামনে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে এই বাংলার মাটিতে বিচার করা হবে ইনশাআল্লাহ। জনগণ এই রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ আর চলতে দিতে চাই না।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানার আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলাম, কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, ওমর ফারুক জামায়াত নেতা আ ফ ম ইউসুফ প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি