অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিক ব্যবহার : রাশিয়া
Share on:
রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার মুখে মাত্র একমাসেই বদলে গেছে ছবির মতো দেশ ইউক্রেনের চেহারা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির অনেক শহর। রুশ বিমানের নিক্ষেপ করা বোমা আঘাত হেনেছে রাজধানী কিয়েভেও। এবার কী তবে ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী?
এর উত্তরে মস্কো বলছে, রাশিয়া তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে যদি তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। বুধবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন না এ বিষয়ে তিনি (পেসকভ) ‘প্রত্যয়ী বা আত্মবিশ্বাসী’ কি না, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরের এমন প্রশ্নের উত্তরে দিমিত্রি পেসকভ একথা বলেন।
ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিন বিবেচনা করছেন কি না, সিএনএন’র এই প্রশ্নের জবাবে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি নিয়ম আছে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার সকল কারণ আপনি সেখানে পড়তে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং এটি (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা) যদি আমাদের দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়, তবে এটি (পারমাণবিক অস্ত্র) আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারি।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এছাড়া হামলার শুরুর মাত্র চারদিনের মাথায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে বিশেষ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন।
পুতিনের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্বজুড়ে সেসময়ই দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। রুশ প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করে সেসময় হোয়াইট হাউস জানায়, পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এমআই