সাকিবের চোট নিয়ে যা জানালেন টিম ম্যানেজার
Share on:
দলীয় ৩ উইকেট হারানোর পরই ব্যাটিংয়ে আসেন সাকিব। এ সময়ই মাসল ক্র্যাম্প (মাংসপেশিতে টান) পড়ে সাকিবের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিলেও রাচিন রবীন্দ্রের একটি বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বাঁ-পাশের উরুতে চোট পান এই অলরাউন্ডার। এ সময়ে মাঠেই সাকিবকে খানিকটা সেবা শুশ্রূষা করেন টাইগার ফিজিও।
এরপর ম্যাচের মোড় পরিবর্তনে দ্রুত ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার কাপ্তান। তবে এতে খুব একটা সফল ছিলেন না দেশসেরা এই ক্রিকেটার। নিজের ইনিংস বড় করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর বোলিংয়ে উইকেট পেলেও বেশ আগেভাগেই নিজের কোটা পূরণ করেন সাকিব। ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ান নিজের চিরচেনা জায়গা ছেড়ে স্লিপে। এতে ম্যাচ চলাকালেই বুঝা যাচ্ছিল, কিছুটা সমস্যায় ভুগছেন সাকিব। একপর্যায়ে মাঠে ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। ম্যাচ শেষেই হাসপাতালে গেছেন টাইগার কাপ্তান।
তবে সাকিবের চোটের বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছুই জানা যায়নি। এমনকি চোট কতটা গুরুতর বা আদৌ কিছু হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা বিসিবি।
হাসপাতালের রিপোর্টের তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে চোট কতটা গুরুতর, সেটা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বুঝতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এখন রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানিয়েছেন, সাকিবের চোট লেফট কোয়াডে (বাম পায়ের উরুর ওপরের দিকে)। স্ক্যানিংয়ের জন্য ম্যাচের পরই ওকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে, ওর চোট গুরুতর কি না।
তবে ক্রীড়া জগতে খুবই সাধারণ এক ইনজুরি মাংসপেশির আঘাত। স্পোর্টস ইনজুরির ১০ থেকে ৩০ শতাংশও এটি। সাধারণত এক থেকে দুইদিনের মধ্যেই এই চোট থেকে সেরে ওঠা সম্ভব। তবে চোট কিছুটা গুরুতর হলে ২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে সাকিবকে। এক্ষেত্রে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচে সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা থাকবে।
এর আগে, বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। টাইগারদের ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় ৯ উইকেটে ২৪৫ রান তোলে লাল-সবুজেরা। জবাবে ৪৩ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় কিউইরা। তিন উইকেট শিকারে ম্যাচসেরা হন লুকি ফার্গুসন।
এনএইচ