আমরা সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি: পলক
Share on:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ফেয়ারমাউন্ট হোটেলে “ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের” ২য় সাধারণ অধিবেশনে প্যানেল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতায় বিনিয়োগ করেছি এবং সম্প্রতি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বিশ্বব্যাপী ৩২ তম অবস্থানে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে একা চলা যায় না। সাইবার স্পেসে হুমকি মোকাবিলায় ডেকোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চিন্তাভাবনা, জ্ঞান বিনিময় ও তথ্য আদান-প্রদানে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা এরইমধ্যে অনেক দেশ এবং সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছি।
“ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের সেক্রেটারি জেনারেল দীমা আল ইয়াহিয়া সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে ডেকোর সদস্য রাষ্ট্র এবং পর্যবেক্ষক দেশগুলোর বিভিন্ন মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা প্যানেল আলোচনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, বর্তমানে বিশ্বের সব দেশের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই), রোবোটিক্স, মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারিং এবং সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষিত রাখতে ডেটা সুরক্ষা আইন চালু করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট, কানেক্টিভিটি এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এ চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। বিগত ১৪ বছরে আইসিটি খাতের উন্নয়নের ফলে আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আইসিটি খাতে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে। বাংলাদেশে ৫২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে।
দেশে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, বাংলাদেশ অনলাইন ওয়ার্ক ফোর্সে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রযুক্তিতে দেশের মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব বিভিন্ন নীতিকৌশলের ফলে দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সরকারিভাবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৩৯২ জনকে স্টার্টআপ ইকুইটি ফান্ড দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছর ডেকোর তৃতীয় অধিবেশনে সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে যোগদান করবেন বলেও জানান তিনি।
এমআই