জীবন পেলেন মিরাজ
Share on:
দ্বিতীয়বার জীবন পেলেন মিরাজ। আফগান পেসার নাবিন উল হকের করা বাউন্সারে কাট করেছিলেন, দৌড়ে গিয়ে এক হাত দিলেও জমাতে পারেননি মুজিব। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০১ রান।
১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে (১০ ওভার) ২ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান যোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। লিটন ও তামিম ফেরার পর জুটি গড়ছেন মিরাজ ও শান্ত।
আগের বলেই একই ধরণের শট খেলে দুই রান নিয়েছিলেন। পরের বলে খেলতে একটু হাওয়ার উঠে গিয়েছিল, তবে আফগান ফিল্ডার নাজিবুল্লাহ জাদরান ধরতে না পারায় বেচে যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারই ফিরে গেলেন। ২০ রানে তামিম ফেরার ২৭ রানে ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন লিটন কুমার দাস। ফেরার আগে ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে রান আউট হয়ে ফিরলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হন তিনি। ফেরার আগে ১৩ বলে ৫ রান করেন তামিম। ৪.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ রান।
পরের ৪৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের অলআউট হলো আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে সমান ৩টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া জোড়া উইকেট শিকার শরিফুলের। আর সমান ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন মুজিব
ব্যাটিংয়ে আসার সময় গার্ড পড়ে আসতে ভুলে গেছিলেন মুজ। পরে দ্রুত গার্ড আনিয়ে পড়েন। যদিও সেটা বেশিক্ষণ প্রয়োজন হয়নি। মিরাজ তাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়েছেন। ৩৬.৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৫৬ রান।
দ্রুত উইকেট হারানোর মধ্যে পাল্টা আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন আজমতুল্লাহ জাজাই। সাকিবের এক ওভারে দুটি চারও হাঁকান তিনি। তবে তাকে বেশিদূর এগোতে দেননি শরিফুল, উপড়ে ফেলেন স্টাম্প। ৩৫.৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৫৬ রান।
বল হাতে আজ শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার প্রতি ওভারেই ভুগতে হচ্ছে আফগান ব্যাটারদের। এবার তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন রশিদ খান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩৪.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৫০ রান।
শুরুতে লাইন লেন্থ সামলাতে একটু বেগ পেতে হচ্ছিল তাসকিনকে। তবে ধীরে ধীরে সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। এবার উইকেটের দেখাও পেলেন তিনি, স্টাম্প উপড়ে ফেললেন আফগান ব্যাটার মোহাম্মদ নবীর। ফেরার আগে ১২ বলের ৬ রান করেন নবী। ৩০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১২৬ রান।
সাকিব উড়ছেন, এবার ফেরালেন জাদরানকে
বল হাতে আফগান ব্যাটারদের জন্য স্রেফ আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবার তার শিকার হয়ে ফিরলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ২৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১২৩ রান।
অন্যপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেলেও রহমানুল্লাহ গুরবাজ আরেকপ্রান্ত আগলে ছিলেন। বলা ভালো, বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তি হয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে করা বল মারতে গিয়ে তানজীদ হাসান তামিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অনেক দূর দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন তামিম। ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় ক্যাচ। ফেরার আগে ৬২ বলে ৪৭ রান করে গুরবাজ। ২৬.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১১৩ রান।
শুরু থেকেই ছিলেন অস্বস্তিতে। কিছুইতেই স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন না। তবে ধীরে ধীরে সেটা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। কিন্তু ফিরতে তাকে হলোই। ইনিংসের ২৫তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন শাহিদি। ফেরার আগে ৩৮ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ২৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১১২ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। তবে তার মারা চারেই আফগানদের দলীয় রান ১০০ পার হয়েছে। ২১.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১০৪ রান।
দলীয় ৪৮ রানে ইব্রাহীম জাদরান ফেরার পর রহমত শাহকে নিয়ে আবার জুটি গড়ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে সাকিবের আঘাতে সেই জুটি ভেঙে গেছে। দলীয় ৮৩ রানে সাকিবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন রহমত, শর্ট কাভারে দাঁড়ানো লিটন সহজেই তালুবন্দি করেন সেটি। এতে ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। ফেরার আগে ২৫ বলে ১৮ রান করেন রহমত।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৩৬ ও রহমত শাহ ব্যাটিং করছেন ১৮ রানে।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান মিলে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। পেসাররা উইকেটের সহায়তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে আক্রমণে আসেন সাকিব। ইনিংসের ৯ম আর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। স্কয়ার লেগে তানজীদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৫ বলে ২২ রান করেন জাদরান। ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ ৪৮ রান।
উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তার আভাস ছিল। সেক্ষেত্রে লাইন-লেংথ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ওভারে বেশ আঁটসাঁট ছিলেন তাসকিন। তবে এরপর আর থাকতে পারেননি। আরেক পেসার শরিফুলও সুইংয়ের আশায় ফুললেন্থে গিয়ে চার হজম করেছেন। সবমিলিয়ে সতর্ক থাকলেও ইতিবাচক শুরু পেয়েছে আফগানিস্তান। ৫.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৩১ রান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করবে সাকিব আল হাসানের দল।
আজ তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তাসকিন, শরীফুল ও মোস্তাফিজের সঙ্গে দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। তানজীদ হাসান তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও রয়েছেন একাদশে। তবে একাদশে সুযোগ পাননি নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ৯ জয় নিয়ে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা। বাকি ৬ ম্যাচে জিতেছে আফগানরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় প্রত্যেকবারই একপেশে লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন-উল-হক ও ফজল হক ফারুকী।
এমবি