ভারতে সাবেক সংসদ সদস্যকে লাইভ টিভিতে গুলি করে হত্যা
Share on:
টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে থাকার সময় ভারতের সাবেক সংসদ (রাজ্যসভা) সদস্য আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে পুলিশের সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজ শহরে (এলাহাবাদ) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে।
রোববার বিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যা ও লাঞ্ছনার অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ এসকর্টের অধীনে থাকা আতিক আহমেদকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
গুলি চালানোর পরে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া তিনজন দ্রুত আত্মসমর্পণ করে এবং তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আহমেদের কিশোর ছেলে কয়েকদিন আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের কাছ থেকে তার নিজের জীবনের জন্য হুমকি ছিল বলে কয়েকদিন আগে দাবি করেছিলেন আহমেদ।
এদিকে, পুলিশের সামনেই খুব কাছ থেকে গুলি করে দুই অপরাধীকে খুনের ঘটনায় গোটা উত্তর প্রদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে হামলাকারী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শান্তি বজায় রাখতে উত্তর প্রদেশের সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পরই রাতারাতি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অশান্তি রুখতে উত্তর প্রদেশের সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন।
বিবিসি বলছে, গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আতিক আহমেদের আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে। ওই আবেদনে তিনি পুলিশের কাছ থেকে তার জীবনের হুমকি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিরোধী দলগুলো এ হত্যাকাণ্ডকে নিরাপত্তার ত্রুটি বলে সমালোচনা করেছে।
গত ছয় বছরে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে পুলিশের হাতে বিভিন্ন অভিযোগের সম্মুখীন ১৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনার মাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও দাবি করছে বিরোধী দলগুলো। এছাড়া মানবাধিকার কর্মীরাও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনেছেন। তবে রাজ্য সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি
এবি