জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সুনামির মতো ভেসে যাবেন: মির্জা ফখরুল
Share on:
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনো বলছি সরে দাঁড়ান, নিরাপদে সরে দাঁড়ান। তা না হলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সুনামির মতো ভেসে যাবেন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটি খবরের কাগজে বড় ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা উঠে এসেছে। প্রত্যেক বড় ব্যবসায়ী একটা কথা বলছেন, আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্যে আছি। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন এমন অবস্থা যে, শ্রমিকদের মজুরির টাকা পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকছে না।
তিনি বলেন, সরকার বলার চেষ্টা করে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এটা হচ্ছে। হয়তোবা কিছুটা আছে। কিন্তু শুরুটা করেছে সরকার। দেশের সম্পদকে লুট করছে। ১০ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। গত এক বছরেই ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যে দেশের অর্থনীতিতে সরকারের লোকেরা সম্পদ লুট করে পাচার করে সে দেশের অর্থনীতি কী থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সংকটকালে রিজার্ভ ব্যবহার হতেই পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন এ সময়ে যদি আমরা প্রণোদনা পেতাম, এ সময়ে যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুবিধা পেতাম তাহলে হয়তো আমরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলা যায় না। কারণ তাদের ডলার নেই, ডলার দিতে পারছে না। রিজার্ভের টাকা তো লোপাট করে ফেলেছে আগে থেকেই এবং এতো বেশি লোপাট করেছে যে, সরকার ডিফেন্সিভ হয়ে বলছে, ‘না আমরা রিজার্ভ চিবিয়ে খাইনি’। আপনারা চিবিয়ে খাননি আমরা জানি, আপনারা গিলে ফেলেছেন এবং সেগুলো আবার পাচার করে দিয়েছেন। এটা প্রমাণিত সত্য। এতো কথা বলার আমার দরকার নাই। আজ সাধারণ মানুষ, রিকশাচালক, হকার যার কাছেই যাবেন বলবে- এ সরকার চোর।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকটা সমাবেশ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমআই