tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮ পিএম

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগ নেতা জালাল


image-122524-1726748636
বাঁ দিকে লাল বৃত্ত দিয়ে মার্ক করা হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল আহমেদ ও ডানে তোফাজ্জল। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মোবাইল চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হত্যায় নেতৃত্ব দেন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ।


হলের প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের তথ্যানুযায়ী, তোফাজ্জলকে মারধরে জড়িতদের মধ্যে আরও ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ (২০২০-২১), প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সুলতান (২০২০-২১), গণিত বিভাগের রাব্বি (২০২১-২১), উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ (২০২০-২১), মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সুমন (২০২১-২২), সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল (২০২১-২২), ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ (২০১৮-১৯ সেশন)।

এদিকে তোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জালাল আহমেদ ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সুমনকে (২০২১-২২) আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ফজলুল হক হলে মারধরের ঘটনায় জালাল ও সুমনকে আটক করে বিকেল ৪টায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন।

মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে সে মোবাইল চুরি করেছে বলে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারে। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তার নাম- তোফাজ্জল বলে জানায়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পরে সে মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাইয়ে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের দক্ষিণ ভবনে গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে পিছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠিদ্বারা উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানালে তাদের সহায়তায় অচেতন যুবককে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এনএইচ