রিজেন্ট সাহেদের জামিন স্থগিত
Share on:
অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
সোমবার সাহেদের জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।
মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
পরে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চেয়েছেন সাহেদ। গেল বছর ৭ জুন তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১২ জুন তা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগও ৩১ অক্টোবর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। চলতি বছর ফের জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আসেন সাহেদ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর পর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
পর দিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এবি