বর্তমান সরকার জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না : মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। জুলুম-নির্যাতনের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। অতীতে কোনো সরকারই মানুষ হত্যা করে, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, বর্তমান সরকারও পারবে না, ইনশাআল্লাহ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে বাধা, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসী ও সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ২৩ আগস্ট দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা, হামলা ও নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের নানা বাধা সত্ত্বেও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচি বানচাল করার হীনউদ্দেশ্যে পুলিশ কয়েকটি জেলায় নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ও কর্মস্থলে রাত-দিন গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে। এ সময় বাড়ি-ঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এবং কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদেরকে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃদ্ধ বাবা-মা, মহিলা ও শিশুদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল হাই ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আহমাদসহ ছয়জন, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তৈয়বুর রহমান, যশোরের বাঘারপাড়া থেকে আটজন, চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে রাতে চারজন এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া গাড়িসহ ৩০ জন, নরসিংদী থেকে তিনজন, লালমনিরহাট জেলা থেকে ছয়জন, সিরাজগঞ্জ থেকে দু'জন, দিনাজপুরের ৪টি উপজেলায় পুলিশ পিক-আপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে টহল দিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং বিরামপুর থেকে একজনসহ সারা দেশ থেকে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোলা সদরের দিঘলদি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মৌলভি সেকান্দার আলী ঢাকায় কারারুদ্ধ ছেলেকে দেখতে আসলে তাকে ছোট দুই সন্তানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে জনমনে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এবং কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি সরকারের এইসব জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার, হয়রানি এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অবিলম্বে এসব অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে শহীদ ফোরকান উদ্দীনের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারে প্রতি আআহ্বান জানাচ্ছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি