রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশে আলোচনায় বসতে সম্মত ইউক্রেন
Share on:
বেলারুশে একটি রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ানরা যেখানে আলোচনা হবে সেখানে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি।
বেলারুশে একটি রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ানরা যেখানে আলোচনা হবে সেখানে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানান তিনি।
আলোচনাটি ইউক্রেন-বেলারুশিয়ান সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা বেল্টা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ান প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং তারা ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের জন্য অপেক্ষা করছেন।
পেসকভ বলেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। এরপরে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে জানান, ইউক্রেন গোমেল অঞ্চলে আলোচনায় বসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য বেলারুশ বাদে তুরস্ক কিংবা অন্য কোথাও আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, মিনস্ক সম্ভাব্য স্থান হতে পারত যদি রাশিয়া বেলারুশীয় ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেন আক্রমণ না করত। তবে বেলারুশ ছাড়াও অন্য কোনো স্থানে আলোচনা সম্ভব।
এদিকে যুদ্ধের চতুর্থ দিনেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে। ইতোমধ্যে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা।
এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৯৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ শিশুসহ ১ হাজার ১১৫ জন।
এ ছাড়া পাল্টাপালটি হামলায় এ পর্যন্ত রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি। সূত্র : এএনআই/স্পুটনিক।
এইচএন