tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৮ পিএম

তেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ ‘মূর্খের’ কাজ : রুশ প্রেসিডেন্ট


42

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এমন কোনো দেশের কাছে তেল বিক্রি করবে না যারা তার তেল রপ্তানিতে মূল্যসীমা আরোপ করে। একই সঙ্গে তেল উৎপাদন কমানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।


প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়ায় পশ্চিমাদের আবারও হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এক আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের পর শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই বলেছি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশগুলোর কাছে আমরা তেল বিক্রি করবো না।’ প্রয়োজনে আমরা সম্ভাব্য উৎপাদন কমানোর বিষয়টিও বিবেচনা করবো।

তিনি আরও বলেন, তেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ ‘মূর্খের’ মতো কাজ। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ক্ষতিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এতে রাশিয়া কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিছুদিনের মধ্যে এ বিষয়ে মস্কো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধের রসদ যোগাতে সস্তায় তেল বিক্রি করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। সেকারণে বেধে দেওয়া দরে এবার তেল কিনবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো।

ইইউ দেশগুলোর সরকার রাশিয়ার সমুদ্রজাত জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)।

শুক্রবার, জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এতেই ক্ষিপ্ত মস্কো।

এর আগে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘এ বছরের (২০২৩) শুরু থেকে ইউরোপকে রাশিয়ার তেল ছাড়াই বাঁচতে হবে।’

শিপিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও চীনের কাছে আরো তেল রপ্তানির জন্য রাশিয়া একশটিরও বেশি জাহাজ ব্যবস্থা করে রেখেছে।

পশ্চিমাদের এমন সিদ্ধান্তে চীন, ভারতসহ যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তারা বিপাকে পড়ছে। কেননা, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের অধিকাংশ বিমাকারী ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক।

এন