মতিঝিল থেকে ১০ জনকে গ্রেফতারে জামায়াতের নিন্দা

সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৫ অক্টোবর রবিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শুরুর পূর্বেই শাপলা চত্বর থেকে সমাবেশের জন্য সংরক্ষিত ৩টি মাইক জব্দ এবং মিছিলের শুরুর পূর্বে ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পথচারীসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। মিটিং-মিছিল করা যেকোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছি। অথচ আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলেই তারা জামায়াতে ইসলামীর উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আমাদেরকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, জুলুম-নির্যাতন ও দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে জামায়াতে ইসলামীকে দূরে রাখা যাবে না। আমরা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেশ ও জনগণের পক্ষে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণকারী আওয়ামী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেশের জনগণ এই জালিম সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য রাজধানী ঢাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামার মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি